চলছে গ্রীষ্মকাল, আছে প্রচণ্ড গরম সাথে করোনার প্রাদুর্ভাব, সুস্থ থাকার জন্যে দরকার আমাদের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন । গরম কালে ঘাম, অতিরিক্ত রোদ, ডিহাইড্রেশনের কারনে শরীর তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে যায়। আর শরীর ক্লান্ত থাকলে মেজাজ ! বুঝতেই পারছেন, হাই টেম্পারেচার। খিটখিটে একটা ভাব যেন লেগেই থাকে, প্রিয় মানুষ গুলোর কথাও অপ্রিয় লাগে। কারনে অকারনে লেগে যায় ঝগড়া। তাই গরমে মেজাজ ও শরীর ঠান্ডা রাখারর জন্য খাদ্যাভ্যাসের কিছু সাধারন পরিবর্তন আপনার জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে
গরমের সাথে সাথে যেহেতু করোনা মোকাবেলাই ও আমাদের মনোযোগ দিতে হচ্ছে তাই একটি উপযুক্ত সমন্বিত খাদ্য তালিকা অনুসরন করা উচিত


·         গরমে ক্লান্তি দূর করে এনার্জি এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ভাব ফিরিয়ে আনতে দরকার কফি, তবে দিনে তিন কাপের বেশি নয়।
·         এই গরমে আপনি খেতে পারেন শষা । বাড়িতে থাকলে তো কথাই নেই, বাইরে গেলে টিফিনবক্সে করে নিয়ে যেতে পারেন। তবে অবশ্যই বাইরের কাটা শষা খাবেন না ।
·         করোনা থেকে বাচতে বাড়াতে হবে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আর সেই জন্য আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ খাবার।
·         ভিটামিন এ - মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, পালং শাক, চিনা বাদাম, পেঁপে ।
·         ভিটামিন সি – কাঁচা মরিচ, পেয়ারা, সবুজ শাক-সবজি, ব্রকোলি, কমলা, লেবু, কলা, টমেটো ।
·         ভিতামিন বি ৬ – টক দই, মাংস, ডিম, দুধ।
·         যেকোন শাক-সবজি অবশ্যই ভালভাবে সিদ্ধ করে খাবেন।
·         বাজার থেকে আনা সব ধরনের ফল দীর্ঘ সময় পানিতে ভিজিয়ে রেখে ফরমালিন মুক্ত করে খাবেন।
·         পর্যাপ্ত পরিমান বিশুদ্ধ পানি (দিনে ১০-১২ গ্লাস) পান করতে হবে।
·         ফাস্ট ফুড এবং চর্বি জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে।
·         তরমুজ গরমের ফল, শরীর ঠান্ডা রাখে পাশাপাশি শরীরের আদ্রতা বাড়ায় যাতে শরীর শুকিয়ে না যায়। তাই সপ্তাহে দু’তিনদিন অবশ্যই তরমুজ খাবেন।
·         আনারস গরমের অতি পরিচিত ফল । সপ্তাহে একদিন আনারস খাও্যার চেষ্টা করবেন ।
·         লেবু যে শরীর ঠান্ডা রাখে তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। প্রতিদিন সকালে এক কাপ জলে একটি পাতিলেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে খাবেন। সন্ধ্যায় ও আর একবার খাবেন।
·         লাউ এবং চালকুমড়া গরমকালে প্রতিদিনই খাওয়া উচিত কারন এগুলো শরীর ঠাণ্ডা রাখতে বিশিষ ভুমিকা নেয়।
·         স্যালাইন, ডাবের পানি, লেবুর শরবত দিনে একবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
·         রাস্তাঘাটের অখাদ্য- কুখাদ্য, জান্কফুড, আইসক্রিম, কোল্ডড্রিংক মানে কোকাকোলা, পেপসি, ফান্টা, এনার্জি ড্রিংক বা অন্যান্য চিনিসমৃদ্ধ পানীয় এবং খাবার এড়িয়ে চলবেন
·         প্রতিদিন খাবারে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন - তিনটি খেজুর, এক চামচ কালো জিরা। প্রতিদিন এক বা দুই পেয়ালা গ্রিন টি ও খেতে পারেন।

খাদ্যাভ্যাসের এই সামান্য পরিবর্তন আপনাকে দিতে পারে গরমে প্রশান্তি, সুস্থ রাখতে পারে শরীর আর দিতে পারে ফুফফুরে মেজাজ৷  তাছাড়া আপনাকে আপনার শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে যাতে করে আপনি করোনার মতো অন্যান্য ভাইরাস বা জীবাণুর সাথে যুদ্ধে জয়লাভ করে বেঁচে থাকতে পারেন।