“শাবাশ! তুই একটা কাজের মত কাজ করেছিস” আমরা অনেক সময় এই ধরণের কথা বলে থাকি। সাধারণত কেউ একটা ভালো কাজ করলেই আমরা এই কথাটি বলে থাকি। “শাবাশ” বলে আমরা তাদের কাজের প্রশংসা করি, তাদেরকে উৎসাহ দেয়। এই শাবাশ কথাটির পেছনে আছে এক প্রচলিত কিংবদন্তী। এর সাথে জড়িয়ে আছে পারস্যের এক রাজপুরুষের নাম।


শাহ্‌ আব্বাস থেকে কিভাবে এল শাবাশ কথাটি?
শাহ্‌ আব্বাসের দরবার    ছবিঃ উইকিমিডিয়া


শাহ্‌ আব্বাস বা প্রথম আব্বাস সাধারণের নিকট যিনি সর্বাধিক পরিচিত “মহান আব্বাস” নামে, মাত্র ১৬ বছর বয়সে পারস্যের শাহ্‌ হয়েছিলেন। সাফাভি রাজবংশের ৫ম শাহ্‌ ছিলেন তিনি। তাঁর শাসনামল ছিল ১৫৮৭ সাল থেকে ১৬২৯ সাল পর্যন্ত। শাহ্‌ আব্বাস সাফাভি বংশের সবথেকে শক্তিশালী শাসক ছিলেন। তিনি এমন একটা সেনাবাহিনী তৈরি করেছিলেন যারা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকত। তিনি তাঁর শাসনামলেই “এসফাহন” শহরকে রাজধানী করেন। তাঁর হাত ধরেই “এসফাহন” উন্নতির চরম শিখরে পৌছায়। শাহ্‌ আব্বাস ছিলেন পিতামহ “শাহ্‌ তাহমস্পের” মতই বিচক্ষণ, যা তাকে তুলেছিল খ্যাতির  চুড়ায়। শিল্প, সাহিত্য, চিত্রকলা সব কিছুতেই তাঁর রাজ্য ছিল অনুসরনিয়। যা “এসফাহন” শহরকে করেছিল অন্যান্য শহর থেকে আলাদা।

শাহ্‌ আব্বাস থেকে কিভাবে এল শাবাশ কথাটি?
শাহ্‌ আব্বাস   ছবিঃ উইকিমিডিয়া

 

শাবাশ কথাটি এল কিভাবে?

শাহ্‌ আব্বাস তাঁর সমগ্র জীবনে ছিলেন আলোকিত ও কর্মময়য়। তিনি করেছেন অসম্ভব রকমের কাজ। সেই থেকে সাধারন মানুষ চমৎকৃত কাজ করলেই শাহ্‌ আব্বাসের সাথে তুলনা করে বলত একি! তুইতো শাহ্‌ আব্বাসের মত কাজ করেছিস। কালের বিবর্তনে এই “শাহ্‌ আব্বাসের মত” কথাটি শাবাশে রূপান্তরিত হয়েছে। এভাবেই শাহ্‌ আব্বাস থেকে সৃষ্টি হয় শাবাশ কথাটির।

source: বাদশাহ নামদার, হুমায়ুন আহমেদ।