মালায়লাম সিনেমার চার্লি
মালায়লাম সুপারস্টার দুলকার সালমান ছিলেন রুপালী পর্দার চার্লি । দুলকারের ভেতরে দর্শক চার্লির থেকে হিমুকেই বেশী খুঁজে পেয়েছে। তবে তেসা নামের মেয়েটিকে রূপার সাথে তুলনা না করাই শ্রেয়। হয়তো একারণেই চার্লিকে হিমু সিরিজের নতুন কোন অপ্রকাশিত উপন্যাস বলতেই পাঠক বেশী ভরসা পাবে।
গল্পের শুরু তেসা নামের মেয়েটিকে কেন্দ্র করে। তেসা নিজেও খানিকটা ভবঘুরে ঘরানার । দুই পায়ে দেখা গেলো দুই ধরনের স্যান্ডেল , জামাকাপড়েও আছে ভিন্নতা । কোন পরিকল্পনা ছাড়াই জীবনকে এগিয়ে নেওয়া যার একমাত্র পরিকল্পনা । এসব শুনে ভাবতে পারেন , এ আবার কেমন ধরণের মেয়ে ! ভিন্নতা আছে বলেই না বিয়ের প্রস্তাব শুনেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলো । পালিয়ে গিয়ে কোথায় উঠবে তার কোন ঠিক নেই। অবশ্য শেষমেশ গিয়ে উঠে একটা পুরোনো ধাচের বাসায় । বাসার ভেতরে প্রবেশ করেই তো বিরক্তির কোন শেষ নেই। যতসব আজগুবি জিনিসে পরিপূর্ন ঘর । কে গোছাবে এই ঘর ! এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতেই ঘর গোছাতে গিয়ে একটি কমিক বইয়ের সন্ধান মেলে। গল্প কিছুটা এরকম - হ্যাপি নিউ ইয়ারের রাতে এক চোর আসে চুরি করতে ।। কিছুক্ষণ বাগবিতণ্ডার পরে দুইজন মিলে বের হয় একসাথে চুরি করার উদ্দেশ্যে! চুরি করতে গিয়ে যখন ছাদের টালি খুলে , দুজনেই তখন চমকে ওঠে । গল্প শেষ। অসমাপ্ত গল্প । কিন্তু শেষ জানার ইচ্ছাই তেসাকে ব্যাকুল করে তোলে । শুরু হয় কমিক গল্পের শেষ খোঁজার গল্প ।
বইয়ের গল্প যে চোরকে কেন্দ্র করে , সেই চোরের সাথে দেখা হয়ে যাই তেসার । চোরের কাছ থেকে জানতে পারে , সেদিন কোন এক তরুণী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল । কিন্তু সে এখন কোথায় তা জানে না । তাকে নিয়েই শুরু হয় গল্পের স্রষ্টার সাথেসাথে শেষ খোঁজার গল্প। চোরকে সঙ্গে নিয়ে তেসা উপস্থিত হয় সেই মেয়ের বাড়িতে । সেখান থেকে জানতে পারে , মেয়ের নাম কানি।
0 Comments
Post a Comment